ব‍্যবসায়ী ও রেল প্রশাসনের উদ‍্যোগে প্রথম মালগাড়িতে ত্রিপুরায় পাঠানো হল চাল

25th September 2020 6:52 pm বর্ধমান
ব‍্যবসায়ী ও রেল প্রশাসনের উদ‍্যোগে প্রথম মালগাড়িতে ত্রিপুরায় পাঠানো হল চাল


দেবাশীষ ঘোষ ( বর্ধমান ) : পূর্ব বর্ধমান রেল বিভাগের স্মরণীয় ও আনন্দের দিন। শুক্রবার বর্ধমান রেলওয়ে পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে দীর্ঘ দশ বছর পর  চাল পরিবহন শুরু হলো । এদিন বর্ধমান থেকে ৫১০ টন চাল   ত্রিপুরার আগরতলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হলো ।এদিন বর্ধমান রেল পরিবহন বিভাগের পক্ষ থেকে চাল ব্যবসায়ীদের  সংবর্ধনাও  প্রদান করা হয় । চাল ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন তাদের চাল রেকে ( মালগাড়ি )  লোড করা হলো ।  বর্ধমান রেলের পণ্য পরিবহনের নতুন মাধ্যমের সূচনা হলোএদিন। বর্ধমান রেলের পরিবহন দপ্তর আধিকারিক বিজে প্রসাদ জানাচ্ছেন লকডাউন এর সময় বিভিন্ন রাইস মিলারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই চাল পরিবহন করা সম্ভব হল। আরো বলেন রপ্তানির বেশকিছু নিয়ম শিথিল করে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিয়ে এই কাজ করা সম্ভব হয়েছে । তিনি আশা করছেন আগামী দিনে এই ভাবে ব্যবসায়ীরা অনেক সুবিধা পাবেন । বর্ধমান রেলের খাদ্যদ্রব্য পরিবহনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো ।এদিন বর্ধমান রেলের স্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী জানাচ্ছেন এইভাবে খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি করা হলে রেলের আয় বাড়বে সাথে সাথে ব্যবসায়ীরাও অনেক সুবিধা পাবেন ।  তাদের এতদিন সড়ক পথে সমস্ত খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি করতে হতো । সেক্ষেত্রে তারা অনেকটা অসুবিধার মধ্যে পড়তেন  এবং অনেক বেশি সময় লাগতো ।  খরচ ও বেশি লাগতো । এই মাধ্যমে তাদের অনেক সুবিধা হবে । বর্ধমান রেলের বুকিং সুপারভাইজার অনিল কুমার সিং জানাচ্ছেন এইভাবে চাল পাঠাতে পেরে বেশ ভালো লাগছে । আজকে ব্যবসায়ীদেরকে আমরা অভিনন্দন জানালাম । এই চাল সুরক্ষিতভাবে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে আশা করি । আগামী দিনে আরো ব্যবসায়ীরা এই সুবিধা পাবেন । চাল ব্যবসায়ী  কুরেশ প্যাটেল জানাচ্ছেন এতদিন সড়কপথে চাল রপ্তানি করা হতো। সে ক্ষেত্রে সাত থেকে দশ দিন সময় লাগত। রেলে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তাদের চাল গন্তব্যে পৌঁছে যাবে । এক্ষেত্রে তাদের বেশি লাভ হবে । পাশাপাশি সমস্ত সামগ্রী সুরক্ষিতভাবে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে আশা করছেন । তাপস কেস জানাচ্ছেন এদিন পাঁচ রকমের চাল রপ্তানি করা হলো । যার মধ্যে আছে মুড়ির চাল ও ভাতের চাল । এইগুলি ত্রিপুরা আগরতলায় ভালো চাহিদা আছে। আমরা যদি এই পরীক্ষামূলক রপ্তানিতে সুবিধা পাই তাহলে আগামী দিনে আরো অনেক ব্যবসায়ীরা এই ভাবে  চাল ভিন রাজ্যে রপ্তানি করতে পারবেন । এক্ষেত্রে বর্ধমানের চাল ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন । এতদিন বর্ধমান জংশন স্টেশনে মালগাড়ি করে বিভিন্ন সামগ্ৰী নিয়ে আসা হত । এখানকার গুডস শেড থেকে ট্রাকে করে তা অনান‍্য জায়গায় পাঠানো হত । এই প্রথম বর্ধমানের গুডস শেড থেকে পন‍্য পাঠানোর কাজ শুরু হল মালগড়ি করে । কম সময়ে সুরক্ষিতভাবে পন‍্য ত্রিপুরা , আসাম এ ধারাবাহিক ভাবে পাঠানো হবে । 
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।